জাহাঙ্গীর হোসেনঃ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর কতৃপক্ষের গাফিলতিতে সরকারি পার্কিং ইয়ার্ডে আবার ও ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধে। পার্কিং ইয়ার্ডের সিকিউরিটি গার্ডদের বেপরোয়া চাঁদা আদায়ে ট্রাক মালিক, ড্রাইভার ও ট্রান্সপোর্ট মালিকসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ চাঁদাবাজি কোন অবস্থায় রুখা যাচ্ছে না। বন্দরের পার্কিং এরিয়ায় ট্রাক ঢুকলেই একশো টাকা দিতে হয় সিকিউরিটি গার্ডদের। গত ২৪ জুলাই ২০২২ তারিখে সাপ্তাহিক জনতার মিছিল পত্রিকায় সরকারি পার্কিং ইয়ার্ডে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত একটা প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর চাঁদাবাজি কিছু দিন বন্ধ থাকলে ও আবার ও ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি।রবিবার সন্ধ্যার দিকে ভোমরা স্থলবন্দরের পার্কিং ইয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশি ট্রাক প্রতি একশো টাকা ও ভারতীয় ট্রাক প্রতি পঞ্চাশ টাকা নিচ্ছে সিকিউরিটি গার্ড সদস্যরা। চাঁদাবাজির বিষয় টি জানার জন্য সিকিউরিটি গার্ড ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদকে খোঁজাখোঁজি করে না পেয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বাসায় চলে এসেছি। তবে গেটে চাঁদা নেওয়া সম্মর্ণ নিষেধ। যারা দায়িত্বে আছে তাদের তো চাঁদা নেওয়ার কথা না। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানিয়ে অনেক বাংলা ট্রাক ড্রাইভার বলেন, সরকারি পার্কিং এরিয়ায় পণ্য লোর্ড আনলোর্ড করতে আসলে ট্রাক প্রতি একশো টাকা পার্কিং-এর গেটই দিতে হয়। টাকা না’দিলে পার্কিংএ ঢুকতে দেয় না সিকিউরিটি গার্ড সদস্যরা। টাকা না’দিতে চাইলে গালিগালাজ ও মারধর করতে আসে তারা।ভোমরা বন্দরে আমাদের নিরাপত্তা নেই মন্তব্য করে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারা বলেন, ভোমরা বন্দরের পার্কিংএ ঢুকলে আমাদের কাছ থেকে জোর করে পঞ্চাশ টাকা ও রাতে থাকলে সকালে বিশ টাকা নেয় সিকিউরিটি গার্ড সদস্যরা। না’দিতে চাইলে আমাদের নানান ভাবে লাঞ্চিত করা হয়। সরকারি পার্কিং ইয়ার্ভে চাঁদাবাজির ঘটনায় বন্দর সংশ্লিষ্ট অনেকেই দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অতি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে বন্দরের এডির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের স্যার উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম বদলী হয়ে চলে যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার তার বিদায়ী সংবর্ধনা বুধবার নতুন স্যার যোগদান করলে তাঁর সঙ্গে বসে বিষয়টা নিয়ে কি করা যায় দেখব।
Leave a Reply