বিশেষ প্রতিনিধিঃ-খুলনার পাইকগাছায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি কথিত ডাক্তার। এবার চার সাংবাদিকসহ ৫ জনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বিভিন্ন ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাংবাদিকদের শায়েস্তা করতে মাঠে নেমেছেন প্যারামেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের। অন্যদিকে সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারে দাবী বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সূত্র জানায়,সম্প্রতি পাইকগাছার কপিলমুনি ইউপির আগড়ঘাটা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহকালে সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার পাইকগাছা প্রতিনিধি আব্দুল মজিদকে লাঞ্চিত করে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে থেকে বের করে দেন মামুন। ঘটনাটি শুনে শনিবার(২১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার সময় তথ্যসনুন্ধানে যেয়ে আবারো কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, গত ১৯ জানুয়ারী আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্তব্যরত প্যারামেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ছুটি না নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন এবং আয়া দিয়ে আগত রোগিদের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করছে। এমন ঘটনার সত্যানুসন্ধানে গিয়ে সত্য ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষটি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মস্থলে এসে সাংবাদিক আব্দুল মজিদ ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ করার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে বের করে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির পাইকগাছা কমিটির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জানতে গেলে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা কাচের জগটি নিয়ে মারতে উদ্দত্ত হয়। সাংবাদিকরা ঠেকাতে গেলে কাচের জগ ভেঙ্গে প্যারামেডিকেল অফিসার মামুনের কপালে কেটে যায় এবং সাংবাদিক আব্দুল মজিদের হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি রাতে মামুন বাদী হয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মিথ্যা ও হয়রানী করার জন্য ৪ জন সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করে মোট পাঁচ জনের নামে পাইকগাছা থানায় বিভিন্ন ধারায় মামলা করে। রাতেই সাংবাদিকদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ যেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অপরদিকে সাংবাদিকদের নামে দায়ের হওয়া হয়রানীমুলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা হলেন-বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান,মহাসচিব সুমন সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম মিজানুর রহমান, মানসুর রহমান জাহিদ সহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিবৃতি প্রদান করেছেন সংগঠনের পাইকগাছা উপজেলা কমিটি’র সভাপতি শেখ আব্দুল গফুর,সহ-সভাপতি জি.এম আসলাম হোসেন,সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান রিন্টু,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,পলাশ কর্মকার,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, এ.কে আজাদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহানন্দ অধিকারী মিন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক তপন পাল,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নাদীর শাহ,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সোহাগঅর্থ সম্পাদক শাহজামান বাদশা,প্রচার সম্পাদক মো: শাহরিয়ার কবির,দপ্তর সম্পাদক এস.কে আলীম,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সম্পাদক:আ: সবুর আল আমীন, ক্রীড়া সম্পাদক মিলন দাশ,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ,নির্বাহী সদস্য শেখ দ্বীন মাহমুদ,শেখ সেকেন্দার আলী,এইচ.এম এ হাসেম,পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল,আবু ইসহাক আলী,মাজাহারুল ইসলাম মিথুন, এস.এম আব্দুর রহমান, মো: ইকবাল হোসেন,জি.এম মোস্তাক আহম্মেদ,শেখ খায়রুল ইসলাম,মো: শফিয়ার রহমান।
Leave a Reply