শাহীন আলম: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খানপুরে সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও গাঁয়ের জোরে বহাল তবিয়তে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করে যাচ্ছে বলে জানান স্থানিয়রা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদরের শিবপুর ইউনিয়নের খানপুর আলহাজ্জ্ব নিয়ামুদ্দীন সরদার এর পুত্র ড্রেজিং মেশিন মালিক ফজলুল হক খানপুর বাজারে পশ্চিম পার্শ্বে মৎস্য ঘের থেকে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে খানপুর কুলপোতা সড়কে পারভেজ বাগানবাড়ী সংলগ্ন বালুর আড়োত করে প্রতি টলি ৪০ ফুট বালু ৩০০ টাকা করে বিক্রয় করে সে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক এখন ফজলুল হক, জানান স্থানিয়রা। এখানে শেষ নয় ড্রেজার মেশিন মালিক ফজুলল হক শুধু বালু বিক্রয় করেন না, সে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় তার মেশিন দ্বারা ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ফুট হিসাবে বালু উত্তোলন করে দেয়। বর্তমানে ফজলুল হক এর মেশিন পাশর্^বর্তী আলিপুর ইউনিয়নের ডাকতেপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে জুম্মানের মৎস্য ঘের থেকে তার ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ডাকতেপোতা সড়কের রাস্তায় বালু দিচ্ছে বলে দেখা যায়। যেখানে কি না মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ২৬ ধারায় বলা হয়েছে পাম্প, ড্রেজিং ও অন্য কোন মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সেতু, কালভাট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক ও মহাসড়ক, বন অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার সিমানার মধ্যে থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হাইকোটের ১৬৩৯২/২০১৭ নং রিট এর আইন অমান্য করিলে বা অন্য কোন বিধান লংঘন করিয়া অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষ ভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতি রেখে বালু বা মাটি উত্তোলন রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন সরকারি বা বেসরকারি পাকা স্থাপনা করিলে সে ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্সিকিউটিভ বডি) আইন অমান্যকারীদের অনুর্ধ্ব ২ (দুই) বছর কারা দন্ড বা সর্বনিম্ন ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) হইতে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা পর্যন্ত অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করবেন। কিন্তু উক্ত মেশিন মালিক ফজুলল হক সরকারি আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি নির্দেশনাকে না মেনে বেআইন ভাবে ভূগর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে। ফলে বালু উত্তোলনের এলাকায় অবস্থিত দ্বিতল ভবন, এলজিইডি সড়ক, মসজিদ, ব্রিজ, কালভাট, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে দাড়িয়ে আছে। ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা এবং প্রশাসকে নিরাব ভূমিকা পালন করার দৃশ্য দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এমতবস্থায় অতিদ্রুত আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
Leave a Reply