নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পাঁচ বছর আগে শিশুদের জন্য কেনা খাদ্যদ্রব্যের টাকা প রিশোধ না করে তালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ওই ঠিকাদারের বিরেুদ্ধে বিগত ২০১৬ সালে সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করা হলেও আজও সে টাকা পরিশোধ করেনি অভিযুক্ত ঠিকাদার খুলনার বাগমারা এলাকার মৃত নওফেল মোল্ল্যার ছেলে অহিদুল ইসলাম।
২০১৬ সালের আগাস্ট মাসে দায়ের করা ওই মামলা সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে অভিযুক্ত অহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এর খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার ছিলেন। এ মামলার বাদি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রাজারবাগান এলাকার মৃত আবদুল গফফার গাজীর ছেলে মো. মোক্তাদুল মাওলা বিভিন্ন সময়ে তাকে শিশুখাদ্য সরবরাহ করতেন। এই শিশু খাদ্য সরবরাহের বিভিন্ন সময়ে আসামী অহিদুল ইসলাম বাদি মোক্তাদুল মাওলার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৯৯হাজার ৯শত ৬২টাকার পণ্য বাকিতে ক্রয় করেন। আর কিছু নগদ লেনদেন আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক এবং ওয়ান ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ভাউচারের মাধ্যমে হয়।
এমতাবস্থায় আসামীর কাছে টাকা চাইলে তিনি তালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে বাদি পক্ষের জোরাজুরিতে ২০১৬ সালের ৩০শে জুনের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকার করে এই মর্মে একটি অঙ্গিকারনামা দেন অহিদুল ইসলাম।
অঙ্গিকারনামায় উল্লেখিত সময় পেরিয়ে গেলেও অহিদুল ইসলাম পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় বাধ্য হয়ে বাদি মোক্তাদুল মাওলা আইনের আশ্রয় নেন। তিনি অহিদুল ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এরপরও অভিযুক্ত অহিদুল ইসলাম পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বরং বাদিকে কোন টাকা দেবেননা এবং ভবিষ্যতে টাকা চাইলে তার ক্ষতি করবেন বলে হুমকি দেন।
প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে মামলা করেন মোক্তাদুল মাওলা। মামলার সিআর নং ৩৭৯/১৬।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোক্তাদুল মাওলা বলেন, এতিম শিশুদের খাবারের কথা বলে আমার কাছ থেকে বাকিতে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এখন আমার টাকা না দিয়ে বরং আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ‘মজমল বাহরাইন’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক অহিদুল ইসলাম। সে ২০১৬ সালে বাকি নিয়ে এখন ২০২১ সালে এসেও আমার টাকা পরিশোধ না করে উল্টো আমাকে হুমকি দেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি একটি বিচারাধীন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এ বিষয়ে বলতে গেলে মোক্তাহিদুল মাওলা আমার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয় বরং সে আমার কাছে যে টাকা পাবে তার চেয়ে বেশি টাকা ইতিমধ্যে নিয়েছে।
অঙ্গিকারনামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আমার কাছে কোন টাকা পাবেনা সেখানে অঙ্গিকারনামা দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা। সে আমার প্যাড এবং সিল-স্বাক্ষর নকল করে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মদদে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply