রাবিদ চঞ্চল
অদূরে শিবসা নদী, দক্ষিণা বাতাসে সুন্দরবনের গাছগাছালির গন্ধ, মেঠোপথ, বিল জুড়ে গবাদিপশুর চারন ক্ষেত্র, পুকুর গুলোতে দিনভর হাঁসেদের জলকেলি,সন্ধ্যা নামতেই ঝিঝি পোকার ডাক, আধুনিকতার ছোয়ার লেশমাত্র নেই বললেই চলে এমনি পরিবেশ গড়ে ওঠা গ্রামের নাম সোনাপুর। হাতে গোনা খানকয়েক দালান বাকি সব মাটির দেয়ালের উপর গোলপাতার ছাউনি, কিছু কিছু আবার খড়ের ছাউনি দিয়ে তৈরি। শিক্ষাদীক্ষা বড্ড কম, সেই দূর গাঁয়ের স্কুল। বর্ষাকালে কাচা কাদামাটির রাস্তায় গরু মহিষের চলাফেরায় মানুষের সে বড্ড দুরগতি। ছোট বড় ডিংগে নৌকা হলো চলাচলের সম্বল। স্কুল পড়ুয়াদের বর্ষাকাল মানেই ছুটি। সাদা মনের মানুষের ঠাসাঠাসি মাঝে খান কয়েক মহিষাসুরও বাস করে এখানে। গিরোস্থোর সংখ্যা হাতে গোনা আর গরীবের সংখ্যা ঢের বেশি। গিরোস্থ মানুষ গুলো শহর বন্দরে চলা ফেলা করলে গরীবের চলাচল আশপাশের গ্রামে গুলোতে সীমাবদ্ধ। আত্মীয় কুটুম আশপাশ গ্রাম গায়ে। সে গ্রামের সবচেয়ে এক গিরোস্থ বাড়িতে সেবার ১০ নম্বর সাইক্লোন ঝড়ের রাতে গিরোস্থর ছোট ছেলের ছোট বউ এর কোল আলোকিত করে আসে এক কন্যা সন্তান। ঝড়ো বিদ্ধস্থ গিরোস্থ বাড়িতে তার আগমন যেন সব কষ্টকে মলিন করে দেয়। বাড়ির কর্তা রাজ নারায়ণ রায় চৌধুরী মহাশয়তো বেজায় খুশি দুই পৌত্রের পর তার পুতনি হয়েছে এতেই আনন্দে বিমোহিত। সকাল হতেই সোনার হার গলার দিয়ে মুখ দর্শন করে পুতনির নাম রাখলেন রাজকুমারী।
চলমান (১ম পর্ব)
Leave a Reply